সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পটুয়াখালীতে মাদ্রাসা থেকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে কিশোরকে অপহরণ। ইজতেমা ময়দানে নিহতের ঘটনায় জামায়াত আমিরের শোক জেলা জজের ড্রাইভার পরিচয়ে অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীতে হত্যার উদ্দেশ্য সাংবাদিককে বেধরক মারধর থানায় মামলা। কসম পাচার কালে মূল হোতা আটক গলাচিপায় চেতনানাশক দ্রব্য ব্যবহার করায় মা-ছেলে অসুস্থ  গলাচিপায় পাচারের সময় ১৭ কচ্ছপসহ ব্যবসায়ী আটক লালমনিরহাটে আ.লীগ নেতা সুমন খান ও স্ত্রীর ব্যাংকে ২৩৭ কোটি টাকা, অর্থপাচার মামলা গলাচিপায় পুলিশের মধ্যস্থতায় আড়ৎদারের টাকা ফেরত দিয়েছেন ফল ব্যবসায়ী গলাচিপায় জেলেদের মাঝে চাল বিতরন

প্রেমিকাকে হত্যার অপরাধে প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৬৩ সময় দর্শন

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় প্রেমিকা আয়না বেগমকে (১৭) হত্যার অপরাধে প্রেমিক আমজাদ খানকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাগেরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক তপন রায় আসামির উপস্থিতিতে এই দণ্ডাদেশ ঘোষণা করেন। এসময় আসামিকে আরও এক লাখ  টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন বিচারক।

ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আমজাদ খান কচুয়া উপজেলার খলিশাখালী উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত দলিল উদ্দিন ওরফে ধলু খানের ছেলে।

এদিকে নিহত আয়না বেগম কচুয়া উপজেলার একই এলাকার হোসেন আলীর মেয়ে।

 

মামলাসূত্রে জানা যায়, বিগত ২০১২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামের বাবলু নামের এক ব্যক্তির সুপারি বাগান থেকে অজ্ঞাতনামা এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একইদিন এ বিষয়ে একটি এজাহার দায়ের করেন কচুয়া থানার সহকারি উপ পরিদর্শক (এএসআই) মিয়ারব হোসেন। অজ্ঞাতনামা এই নারীর পরিচয় ও হত্যাকারিকে শনাক্তে কাজ শুরু করে পুলিশ। ওই বছরের শেষের দিকে পুলিশ প্রেমিকা আয়না বেগমের প্রেমিক আমজাদ খানকে আটক করে।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক আমজাদ খান জানায়, অজ্ঞাতনামা ওই নারীর নাম আয়না বেগম। মুঠোফোনে আয়নার সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ে করার শর্তে প্রেমিকা আয়নার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে ওই নারী আমজাদকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। স্ত্রী-সন্তান থাকায় আমজাদ আয়নাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। বিষয়টি জানাজানি হলে নিজের ক্ষতি হবে ভেবে আমজাদ ওই নারীকে রাতে বাড়ি থেকে ডেকে এনে মঘিয়া ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামের একটি সুপারি বাগানে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে চলে যায়। পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রেমিক আমজাদ খানকে আসামি করে ২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও পুলিশের চার্জশিটের ভিত্তিতে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত প্রেমিক আমজাদকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। একই সাথে আসামিকে আরও এক লাখ  টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন বিচারক।

এই মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন, এপিপি সীতা রানী দেবনাথ। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন বিদান চন্দ্র রায়।

আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পড়ুন এই বিভাগের আরও খবর

Chairman Md. Azadul Islam. CEO Md. Amir Hossain. Editor S, M, Shamim Ahmed. Managing Director Md. Lokman Mridha, office House # 43 ( Ground Flooor ) 47 Road No. 30, Mirpur, Dhaka Division - 1216

 

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71